বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ১০:৩৯ পূর্বাহ্ন

সরকারের হাতে দেশ-জনগণ নিরাপদ নয়: নুর

সরকারের হাতে দেশ-জনগণ নিরাপদ নয়: নুর

স্বদেশ ডেস্ক:

বর্তমান সরকারের হাতে এখন দেশ ও জনগণ নিরাপদ নয় বলে মন্তব্য করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর।

আজ শুক্রবার বিকেলে গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে নুরুল হক নুরকে হত্যা চেষ্টার জন্য হামলাকারীদের গ্রেপ্তার, ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লাসহ আটক সকল বন্দিদের মুক্তি ও যুগপৎ আন্দোলনের এক দফা দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও গণমিছিলে তিনি এক কথা বলেন।

বিক্ষোভ সমাবেশে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি বলেন, আওয়ামী লীগ মুখে অসাম্প্রদায়িকতার কথা বললেও অবৈধভাবে ক্ষমতায় থাকতে এখন ভারতের সাম্প্রদায়িক দল বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়েছে। কিছুদিন আগে আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দল ভারতে গেছে। ক্ষমতায় থাকতে ভারতের সাম্প্রদায়িক দল বিজেপির সঙ্গে চুক্তি করেছে। তারা যেন আওয়ামী লীগকে আবার ক্ষমতায় আনে। তাই এদের হাতে এখন আর দেশ-জনগণ, দেশের মানুষের ধর্ম-কর্ম নিরাপদ নয়।

নুর আরও বলেন, ‘সরকার দুইটি কারণে আমার ওপর ক্ষুব্ধ। একটি হলো প্রতিনিয়ত এই সরকারের অন্যায়-অবিচার, দুর্নীতি-দুঃশাসন নিয়ে রাজপথে সোচ্চার থাকায়। অন্যটি হলো এই সরকারের ফাদার-মাদার, যারা এই সরকারকে ক্ষমতায় এনে টিকিয়ে রেখেছে, সেই ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে কথা বলায়। এসব কারণে বারবার আমার ও আমাদের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা করে। আমাদের ছাত্র, যুব, শ্রমিকসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাদের প্রতি নজরদারি, হুমকি-ধামকি দিচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘নিজেদের সেইফ এক্সিটের জন্য হলেও অনতিবিলম্বে ছাত্রনেতা বিন ইয়ামিন মোল্লা, গোপালগঞ্জের ছাত্রনেতা ঈসমাইলসহ সকল বন্দিদের মুক্তি ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে অনতিবিলম্বে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি মেনে নিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।’

সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ রাশেদ খান বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকার জন্য বিদেশিদের কাছে ধর্না শুরু করেছে। তবে এইবার আর বিদেশি হস্তক্ষেপে ক্ষমতা থাকা যাবে না। এইবার গণআন্দোলনের মাধ্যমেই আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হবে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল না করে নতুন নাটক শুরু করেছে। কোন নিপীড়নমূলক আইন মানা হবে না। নির্বাচন কমিশন নামসর্বস্বদের নিবন্ধন দিয়েছে, ভুঁইফোড় পর্যবেক্ষক সংস্থাকে পর্যবেক্ষক করার অনুমোদন দিয়েছে। নির্বাচন কমিশন অবৈধ সরকারকে আবারও ক্ষমতা আনার চেষ্টা করলে, এই নির্বাচন কমিশনের উপর নিষেধাজ্ঞা আসবে। সুতরাং ১৪ ও ১৮ মার্কা নির্বাচন করার পায়তারা করবেন না।

বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে পল্টন কার্যালয়ের সামনে থেকে গণমিছিল শুরু করে, ফকিরাপুল, নয়াপল্টন, নাইটিংগেল মোড়, বিজয়নগর, গুলিস্তান জিরো পয়েন্ট ঘুরে পল্টন মোড়ে এসে শেষ হয়।

গণঅধিকার পরিষদের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক সোহরাব হোসেন ও সাবেক যুগ্ম সদস্যসচিব মশিউর রহমানের সঞ্চালনায় বিক্ষোভ সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন, গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদের সদস্য আবু হানিফ, শাকিল উজ্জামান, হানিফ খান সজিব, শহিদুল ইসলাম ফাহিম, ফাতেমা তাসনিম, সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক বিপ্লব কুমার পোদ্দার, মাহফুজুর রহমান, সাবেক সহকারী আহ্বায়ক বায়জিদ শাহেদ, সাবেক যুগ্ম সদস্যসচিব জিলু খান, সাবেক সহকারী সদস্যসচিব আনিসুর রহমান মুন্না, সাবেক সদস্য তোফাজ্জল হোসেন, ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম আদিব, যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি মনজুর মোর্শেদ, সাধারণ সম্পাদক নাদিম হাসান, শ্রমিক অধিকার পরিষদের সভাপতি আব্দুর রহমানসহ আরও অনেকে।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877